বাউফলে ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষ,আহত ১০

বাউফলে ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষ,আহত ১০

 মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাউফল: পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা )মার্কা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর (চশমা)মার্কা সমর্থকদের মধ্যে রাম দা এবং লাঠিসোটা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় গোলাগুলিরও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এঘটনার সময় প্রায় আধা ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেশবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ওই  ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্রোহী চশমা মার্কার প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলুর ২০-২৫জন কর্মী সমর্থক কাফনের কাপড় পরে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে এক পর্যায় নৌকার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। হঠাৎ উভয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এসময় উভয় পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হয়। এদের মধ্যে নৌকার সমর্থক মো. মিরাজ (৩০) ও চশমার সমর্থক রাসমোহন দাস (৪০) এবং রাব্বি (৩০) গুরুতর আহত হয়।  আহতদের প্রথমে বাউফল হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আবু তাহের ও নুর ইসলামসহ বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনার পর প্রায় আধাঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। যদিও ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, মাত্র ১০ মিনিটি ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
নৌকার প্রার্থী সালেহ উদ্দিন পিকু জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল। হঠাৎ করে জোড়া খুন মামলার প্রধান আসমী ও চশমা প্রতিকের প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলু ও খুন মামলার অন্য আসামীরা কাফনের কাপড় পড়ে নৌকার কর্মীদের উপর হামলা করে এবং কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। তবে চশমা মার্কার প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলু ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এবিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, কেশবপুরের একটি কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোন কেন্দ্রে  বিশৃংখলার ঘটনা ঘটেনি। অন্যান্য ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট গ্রহণ চলছে। ঘটনাটি জানার পর  জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী মহোদয় ও জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সহিদুল ইসলাম পিপিএম মহোদয় ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। কিছুক্ষন পর সেখানে শান্তিপূর্ন ভাবে পূর্নরায় ভোট গ্রহন শুর হয়েছে ।
¬¬¬
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কেশবপুর ইউনিয়ন ব্যতিত অন্য কোন ইউনিয়নে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কালাইয়া ও ধুলিয়া ইউনিয়নে মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শান্তিপপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাধারন ভোটারেরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

তবে প্রথম বারের মত বগা ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে গিয়ে ভোটারদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। প্রতি ভোটের জন্য গড়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় ব্যয় হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে ইভিএম নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা না হওয়ায় এমন ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।